ঢাকা, সোমবার, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ মে ২০২৪, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘গঙ্গা ব্যারেজ নিয়ে অচিরেই সমঝোতা’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৭
‘গঙ্গা ব্যারেজ নিয়ে অচিরেই সমঝোতা’ ‘নদী বাঁচাও- দেশ বাঁচাও- মানুষ বাঁচাও’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা- ছবি- কাশেম হারুণ

ঢাকা: ভারতের সঙ্গে গঙ্গা ব্যারেজ নিয়ে আলোচনা চলছে, অচিরেই এ বিষয়ে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি।

রোববার (১৯ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রিমিয়ার নিউজ সিন্ডিকেট লিমিটেড আয়োজিত ‘নদী বাঁচাও- দেশ বাঁচাও- মানুষ বাঁচাও’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, অনেকে প্রশ্ন করছেন গঙ্গা ব্যারেজ নিয়ে কেন ভারতের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে? ভারত তো ফারাক্কা ব্যারেজ নিয়ে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেনি।

যারা এ প্রশ্ন করছেন আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলবো, গঙ্গা ব্যারেজ নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে জায়গা অধিগ্রহণের জন্য। ১৩ কি.মি. জায়গার অর্ধেক বাংলাদেশের আর অর্ধেক ভারতের। সেজন্যই জমি ক্রয় করতে তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। অন্যদিকে ব্যারেজের এক চতুর্থাংশ পানি জমা হবে ভারতের জায়গায়। এনিয়ে সমঝোতার জন্য তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে, অচিরেই একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান আসবে।  

গঙ্গা ব্যারেজ ছাড়া বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে বাঁচানো অসম্ভব মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, পানির নাব্যতা ছাড়া দক্ষিণাঞ্চলে লবণাক্ততা বেড়ে যাবে। আগে আমরা ভারতের পানি পেতাম ৫৫ হাজার কিউসেক। কিন্তু এখন ২০ হাজার কিউসেকও পাওয়া যায় না। ওই অঞ্চলকে বাঁচাতে হলে আরও ২০ হাজার কিউসেক পানি গঙ্গা, মাথা ভাঙ্গা, চন্দনা নদীতে ধরে রাখতে হবে।

যমুনার পানি এনেও বুড়িগঙ্গাকে রক্ষা করা যাবে না, যতক্ষণ না পর্যন্ত বর্জ্য নদীতে ফেলা বন্ধ না হবে মন্তব্য করে পানিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। বুড়িগঙ্গাকে দখল মুক্ত এবং বর্জ্য দূষণ বন্ধ করতে হবে। তা না হলে বুড়িগঙ্গাকে বাঁচানো যাবে না।

মতবিনিময় সভায় নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, নদী দখল হচ্ছে, নদীর নাব্যতা হারাচ্ছে। এজন্য মানুষ দায়ী, মানুষের অসচেতনতা দায়ী। অতীতের কোনো সরকার নদী সংরক্ষণের জন্য কাজ করেনি। আমরাই বঙ্গবন্ধুর কেনা ৭টি ড্রেজার দিয়ে ড্রেজিং শুরু করি। ২০০৯ থেকে ২০১৩ সালে আমরা ১৪টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছি। বেসরকারি খাতেও ৭০টি ড্রেজার সংগ্রহ করে নদী খননের বিপ্লব ঘটিয়েছি। এছাড়াও আরও ১০টি ড্রেজারের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন- পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাফর আহমেদ খান, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব আশোক মাধব রায় প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৭
এমএ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।